ওড়িশার পুরীতে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-এর শুটিং করছেন। ছয় বছর ধরে লালন করা এই চিত্রনাট্য অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে। এই ছবি তিন শতাব্দীর তিনটি প্রেমের গল্প তুলে ধরবে। তবে ছবির প্রেম প্রকাশ পাওয়ার আগেই, এবার প্রকাশ্যে এলো পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী সুস্মিতা দে’র প্রেমের গুঞ্জন।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুস্মিতা দে’র সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে টলিউডে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। তাদের একসঙ্গে পুরীতে সিনেমার শুটিংয়ে উপস্থিতি এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এই গুঞ্জনকে আরও উসকে দিয়েছে। যদিও তারা কেউই এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি, তবে তাদের ভক্ত এবং চলচ্চিত্র মহলে এই নতুন সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সিনেমার কাজের সূত্রেই সৃজিত-সুস্মিতার বেশি করে আলাপচারিতা হয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় মঞ্চে যেদিন প্রথম ‘মার্ক্স ইন কলকাতা’ করলেন, সেদিন তা দেখতেও গিয়েছিলেন সুস্মিতা। এ ছাড়া দুজনকে একসঙ্গে বাংলা ছবির প্রিমিয়ারে দেখা যায়। পরিচালকদের বন্ধুবান্ধদের সঙ্গেও নাকি সুস্মিতার সখ্য রয়েছে। তবে তারা প্রেমে পড়েছেন কিনা, সেই চর্চা এত দিন হয়নি।
কিন্তু পুরীর সমুদ্র যে উত্তাল। সেই সমুদ্রকে সাক্ষী রেখে অনেকের প্রেমেরও জন্ম হয়। তবে পরিচালকের ঘনিষ্ঠজন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, সুস্মিতা-সৃজিতের বন্ধুত্ব এখন চোখে পড়ার মতো। বিষয়টা বিশেষ বন্ধুত্বের দিকে এগিয়েছে, তেমন মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা সৃজিতের পরিচালনায় কাজ করার পর পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে পরিচালকের সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করেছেন। যার ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘স্যার চোখের মধ্যে।’ এরপরই নেটিজেনদের মন্তব্যের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী ও পরিচালক। কারণ সুস্মিতার পোস্ট করা সেই ছবির কমেন্ট বক্সে সৃজিত নিজেই লাভ রিয়েকশন দিয়েছেন, যা ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির শুটিংয়ে বিভিন্ন চরিত্রের লুকও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এই ছবিতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গেছে ‘বিনোদিনী’ রূপে, যিশু সেনগুপ্ত থাকছেন নিত্যানন্দ প্রভুর বেশে এবং গিরীশচন্দ্র ঘোষের রূপে অভিনয় করছেন ব্রাত্য বসু। চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
খুলনা গেজেট/এসএস